Wellcome to National Portal

উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়, বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওয়েব পোর্টালে আপনাকে স্বাগতম ❤️

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

বিজয়নগর উপজেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি নবসৃষ্ট উপজেলা এবং সুপ্রাচীন জনপদ। ৩আগস্ট ২০১০ সালে ৪৮২তম উপজেলা হিসাবে এর প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। ইতঃপূর্বে এ উপজেলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও তিতাস নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এর একটি ভিন্ন ধর্মী আবহ ও আমেজ রয়েছে। তিতাস বিধৌত এই উপজেলার আয়তন ২২১.১৭ বর্গকি.মি. । ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হতে সড়কপথে এর দুরুত্ব ৩৫ কিমি। এর উত্তরে নাসিরনগর উপজেলা, পূর্বে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা, দক্ষিণে আখাউড়া উপজেলা এবং পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা।

 

কৃষিই হচ্ছে এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের মূল উপজীব্য এবং অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় হাওর, সমতল ভূমি এবং ছোট পাহাড় এই তিনধরনের ভূমি রূপ রয়েছে। এটিই এই উপজেলার অনন্য বৈশিষ্ট্য। হাওর ও সমতল ভূমিতে যেমন ধান ও সবজি চাষের আধিক্য রয়েছে ঠিক তেমনি পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে ফল চাষের অপার সম্ভাবনা। আর সেই সম্ভাবনা ও আনুকূল পরিবেশকে পুঁজি করেই আমাদের সম্প্রসারণ কর্মীগণ এই অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন রকমের ফল যেমন মাল্টা, লেবু, লিচু, কাঁঠাল, বারমাসি আম, লটকন, ড্রাগন,  আনারস, বড়ই ইত্যাদির সম্প্রসারণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এই চেষ্টা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে নিকটভবিষ্যতে এই অঞ্চল গুলো ফলচাষের জন্য অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যেই বিজয়নগরের লিচুও মাল্টা দেশ ব্যাপী পরিচিতি ও সুনাম পেয়েছে। হাওর অধ্যুষিত কিছু ইউনিয়নে উন্নত জাতের ধান চাষের পাশাপাশি বারমাসি সবজি বিশেষ করে কুমড়াজাতীয় সবজি চাষে কৃষকেরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনেক অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আসছে এবং শস্যবিন্যাসে ও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। যার ফলে শস্যের নিবিড়তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হচ্ছে।

 

এক নজরে উপজেলা কৃষি বিষয়ক তথ্য

 

সাধারণতথ্যঃ

  1. আয়তন– ২২১.১৭বর্গকি.মি
  2. জনসংখ্যা – ২,৮৮,২৭০জন ( জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রেক্ষিতে)
  3. ইউনিয়ন – ১০টি
  4. কৃষিব্লক – ৩০টি
  5. কৃষক পরিবার – ৩৮৪৯০টি
  6. মোট আবাদযোগ্য জমি – ১৫৬০৬ হেক্টর
  7. ফসলের নিবিড়তা (%) – ১৭১% ( ফসলের নিবিড়তা ক্রমবর্ধমান এবং আশা করা যায় নিকট ভবিষ্যতে এটি প্রায় ২০৫-২১০% হবে। কারণ, ফসলের শস্য বিন্যাস (Cropping Pattern) বদলে যাওয়ার কারণে অনেক জমিতে ৪টি ফসল আবাদ হচ্ছে এবং অনাবাদি জমিগুলো সবজি ও ফল চাষের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।)
  8. হাওর সম্পর্কিত তথ্য
  • ইউনিয়নঃপূর্ণ ২টি, আংশিক ৮টি
  • মোট আয়তনঃ ৫১৩৮ হেক্টর
  1. সেচসম্পর্কিততথ্য
  • গভীর নলকূপঃ বিদ্যুৎ চালিত- ৩৭টি ডিজেল চালিত- ০০টি
  • অগভীর নলকূপঃ বিদ্যুৎ চালিত- ১৯৫টি ডিজেল চালিত- ২৬২৬টি
  • পাওয়ার পাম্প/এলএলপিঃ বিদ্যুৎ চালিত- ২৬টি ডিজেল চালিত- ৫৪৫টি
  1. উপজেলায় উৎপাদিত প্রধান খাদ্যশস্যের নামঃধান (আউশ, আমন, বোরো)।উল্লেখ্য, চরইসলামপুর, পত্তন সহ কিছু হাওর অঞ্চলে শুধুমাত্র বোরো ধানের চাষ হয়।
  2. উপজেলায় উৎপাদিত অন্যান্য ফসল ও সবজির নামঃবেগুন, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি । উল্লেখ্য, শুধুমাত্র পত্তন ইউনিয়নেই প্রায় ৮০হেক্টর জমিতে এই সকল সবজির চাষ হয়।
  3. উপজেলায় উৎপাদিত প্রধান ফলের নামঃলিচু, আম, কাঁঠাল।
  4. উপজেলায় উৎপাদিত নতুন ফসলসমূহঃসূর্যমুখী (তেলবীজ), তিল (তেলবীজ), মাল্টা (লেবুজাতীয়), কার্টিমন (সুইট কাটিমন)/ ( বারিআম-১১ (ফল), সাম্মাম (ফল), লটকন (ফল), বড়ই (ফল)।
  5. , অপ্রচলিত , স্থানীয় বিভিন্ন সবজি ও ফলের চাষাবাদ হয়।
  6. সমগ্র দেশের ন্যায় বিজয়নগরের কৃষিতে ও লেগেছে প্রযুক্তির ছোঁয়া । পূর্বের ৩ টি কম্বাইন হার্ভেস্টারসহ বর্তমানে মোট ১৫টি কম্বাইন হার্ভেস্টার, ১ টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, ১টি রিপার ও ১টি ভূট্টা মাড়াই মেশিন সচল আছে।
  7. অতি সম্প্রতি ২টি সোলার লাইট ট্র্যাপ ও ১টি ড্রীপ ইরিগেশন সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিজয়নগর সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন ফল, ফসল ও ফসলের জাত এবং নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে যা একটি চলমান প্রক্রিয়া।

 

 

অত্র কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ২৮ জন। 

 

১) উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা-১জন। 

২) কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা-১জন

৩) উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা-১জন

৪) উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা-২০ জন (১জন ডিডি অফিসে প্রেষণে)

৫) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক-১জন

৬) অফিস সহায়ক-১জন

৭) নিরাপত্তা প্রহরী-১জন

৮) পরিচ্ছন্নতা কর্মী-১ জন (প্রেষণে সদর অফিস)